গ্রামের ছেলের সাথে শহরের মেয়ের প্রেম
write by sm
শুভ্র ইন্টার পাশ করে মা-বাবার স্বপ্ন পূরনের লক্ষে দেশের সবচেয়ে ব্যস্ত শহরে ভর্তি হন ।
শুভ্র মেসে থেকে পড়ালেখা করার সিদ্ধান্ত নেয় । ওদের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না তাই ওর চলাফেরাই একটু সমস্যা হয়, তাই পোশাক আশাকেও সমস্যা ।
আগামীকাল জীবনে প্রথম ভার্সিটির ক্লাস । অন্য সবার মতো শুভ্র ও নতুন শার্ট পড়তে ইচ্ছা করছে কিন্তু ওর তো নতুন কোন শার্ট নেই ।
একটা আছে ৫ মাস আগে বাবা ১৫০ টাকা দিয়ে কিনে দিয়েছিল পরীক্ষা দেওয়ার জন্য , তাই নতুন শার্ট না থাকাতে শুভ্রর মনটা একটু খারাপ হলেও ঐ শার্ট টা পড়ে ভার্সিটিতে যায়। শুভ্র শহরে নতুন তাই সবকিছু চিনেনা আর তাই ক্লাসে ডুকতে ১৫ মিনিটের মতো দেরি হল,তাই ক্লাস রুমের সামনে এসে দাড়ালো তখন............
-wellcome(শুভ্র)
-it,s ok
-স্যার আসতে পারি?
-হ্যা আসো,তুমি কি এই ভার্সিটির স্টুডেন্ট?
-জি স্যার(এটা বলাতে ক্লাসে হাসির রুল পরে গেল,জানি সবাই আমাকে হয়তো কোনো শ্রমিক মনে করছে তাই প্রথম হাসে নি , স্যার সবাইকে চুপ করালো)
-শুভ্র ক্লাসে প্রবেশের সময় স্যার ওকে দাড় করিয়ে বলে সবার পরিচয় নেওয়া হয়ে গেছে , তোমি সবার সাথে পরিচিত হও। সবাই পরিচিত হওয়ার পর ক্লাস শেষ করে দিলো । ক্লাস শেষে সুন্দর একটা মেয়ে বের হবার সময় শুভ্রের পাশে থাকা মেয়েটি ক্ষেত বলে রাগি মুখ নিয়ে বের হয়েগেছে ।। কয়েকদিন পর....শুভ্র এই কয়দিনে ভার্সিটিতে ক্ষেত নামে পরিচিত হয়ে গেছে, ওর কাছে প্রথম প্রথম খারাপ লাগলেও এখন আর খারাপ লাগে না। কারন এই শব্দটা শুনতে শুনতে তার অভ্যাস হয়ে গেছে। একদিন ক্লাসে স্যার সবাইকে বলে ভালোবাসা কাকে বলে? যে যার যার মতো বলতাছে। স্যার কতক্ষণ পর মিমকে মানে সবচেয়ে ভালো স্টুডেন্ট কে দাড়া করিয়ে বলে তুমি বলো(যে মেয়েটি শুভ্রকে ক্ষেত বলে ডাকে)
-পাশাপাশি দুই বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে তেমনি দুটি ছেলে মেয়ের মনের মিলনকে ভালবাসা বলে, এর কোনো প্রকার ভেদ নাই
-আর কেউ এর চেয়ে ভালো বলতে পারবা ? তখন শুভ্র দাড়িয়ে বলল স্যার আমি বলবো-বলো
-ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগ কেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা। তবুও ভালোবাসাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। আবেগধর্মী ভালোবাসা সাধারণত গভীর হয়,বিশেষ কারো সাথে নিজের সকল মানবীয় অনুভূতি ভাগ করে নেয়া, এমনকি শরীরের ব্যাপারটাও এই ধরনের ভালোবাসা থেকে পৃথক করা যায়না। ভালোবাসা বিভিন্ন রকম হতে পারে, যেমন: নিস্কাম ভালোবাসা, ধর্মীয় ভালোবাসা, আত্মীয়দের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি-তোমারটা সবচেয়ে ভালো হয়ছে, ধন্যবাদ তোমাকে এটা বলাতে মিমের রাগে চেহারা লাল হয়ে গেছে। ক্লাস থেকে বের হয়ে শুভ্র ক্যাম্পাসে হাটাহাটি করছে এমন সময় মিম একই ডিপার্টমেন্টের বড় আপুদের নিয়ে এসে শুভ্রকে দাড় করিয়ে প্রথম চোখ থেকে চশমাটা খুলে নেয়।
-আপনারা কি করছেন কিছুই বুঝতে পারছি না(শুভ্র)
-তোর নাম কি?(বড় আপুদের মধ্যে একজন)
-শুভ্র
-শুধু শুভ্র?আগে পাছে কিছু নাই?
-হ্যা আছে
-তাহলে সংক্ষেপে বললি কেন?
-এমনি
-কানে ধর
-কানে ধরবো কেন?
-বলছি ধর
-আপু আপনারা কি আমাকে র্যাগ(ragging) দিচ্ছেন?
-বলছি কানে ধরতে না হলে এখন পেন্ট খুলে সারা ক্যাম্পাস হাটাবো তখন শুভ্র নিরীহ মানুষের মতো ওরা যা যা বলে তা করে রুমে চলে আসলো।শুভ্র রুমে এসে অনেক কান্না করলো,বাবা রিক্সা চালক হলেও গ্রামে ওর সাথে কেউ এমন করে নি।এভাবে প্রথম ১ম বর্ষ কেটে গেলো,আজ ১ম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট দিবে।সবার প্রথম ক্লাসে সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট দারির নাম ঘোষনা করা হবে।সবাইকে তাক লাগিয়ে ক্লাসের প্রথম হলো শুভ্র আর দ্বিতীয় মিম।এটা শুনার সাথে সাথে শুভ্র একটা মুচকি হাসি দেয় কারন ওর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল ক্লাসে এক নম্বর হবে, তখন শুভ্র স্পেশালি ভাবে সব স্যারেরা তাকে একটি করে কলম উপহার দিল। অপরদিকে মিম রেগে আছে। কি করে ক্ষেতের বাচ্চাটা এক নম্বর হয়? মিম ক্যাম্পাসে বেশিক্ষণ না থেকে চলে গেলো।শুভ্র অনেক খুশি মনে খবরটা ওর মা-বাবা কে জানায়।শুভ্র কয়েকদিন পর একটা টিউশনি পেলো, যাক এখন থেকে আর বেশি অভাবে চলতে হবে না কারন প্রতি মাসে দশ হাজার টাকা পাবে, আর তাতে শুভ্রর খুব ভালোভাবে চলে যাবে। যাকে পড়াবে সেই মেয়ে নাকি ক্লাস টেনে পড়ে।প্রথম দিন পড়াতে গিয়ে ওর মা বাবা শুভ্রর সাথে কথা বলার পর ছাত্রীর সাথে কথা বলেছে।সেদিনের মতো রুমে এসে ঘুম দিলো। ছাত্রীর নাম নিধি। পরদিন যাওয়ার পর বুঝতে পারলো ছাত্রী হিসাবে তেমন একটা ভালো না কিন্তু অনেক ফাজিল মেয়ে।এরকম ২-৩ দিন যাওয়ার পর একদিন দরজায় কলিং বেল বাজানোর পর দেখে মিম।
-ঐ তোর এখানে কি চাই?
-(চুপ)
-ঐ ভ্যাবলা কথা বল
-আপু উনি আমার স্যার(নিধি)
-মানে
-হ্যা ৫ দিন আগে ঠিক করছে
-আমি এক সপ্তাহ বাসায় না থাকাতে এরকম ক্ষেত কিভাবে আমাদের বাসায় জায়গা পায়?
-আপু এখন কিন্তু বেশি হয়ে যাচ্ছে,ভাইয়া তুমি আসো বলে নিধি শুভ্রর হাত টেনে পড়ার রুমে নিয়ে যায়।
-ভাইয়া তুমি কিছু মনে করো না(নিধি)
-আরে না
-জানি তোমার একটু খারাপ লাগছে
-আচ্ছা বাদ দাও এসব
-আপুর হয়ে আমি স্যরি
-ওকে এখন পড়তে বসো ।কতক্ষণ পর নিধি তোরে মা ডাকে।
-কেন?
-ক্ষেতটাকে নাস্তা দিতি
-আপু আরেকবার যদি এই কথাটা বলো তাহলে খুব খারাপ হবে
-তুই কি খারাপ করবি?
-সোজা গিয়ে মা-বাবার কাছে গিয়ে বলবো
-এটা ছাড়া আর কিছু পারবিনা বলে ও চলে গেলো
-ভাইয়া আপু এরকমই(নিধি)
-হুম বুঝছি
-ভাইয়া তোমাকে একটা কথা বলি?
-হুম শিওর
-তোমি কালকে আমার সাথে এক জায়গায় যাবা?
-কেন?
-এমনি তোমার সাথে অনেক্ষন ঘোরাঘুরি করবো
-তোমার মা-বাবা মাইন্ড করবে
-করবে না
-ওকে। পরেরদিন নিধি আর শুভ্র বের হয়।
-ভাইয়া আসো ঐ দোকানটার দিকে যায়
-হুম চলো
-এটা তোমার গায়ে লাগিয়ে দেখো তো লাগে কি না?
-কেন?
-বলছি আগে দেখো
-হুম লাগে-মামা এটা প্যাকেট করেন । এরকম ভাবে শুভ্রর মাপে ৭-৮ টা কাপর নিলো ।
-ভাইয়া ঐ জেন্টস পার্লারে চলো
-কেন?
-তোমার চুল ছোট করবা আট মুখটা পরিষ্কার করবা
-শুভ্র এতক্ষণে বুঝতে পারছে এগুলো তার জন্য করতাছে,নিধি এগুলো কেন করতাছো?
-আপু তোমার চুল আর কাপরের জন্য ক্ষেত বলছে, এখন দেখবো কিসের জন্য ক্ষেত বলে।
-তাই বলে আমার জন্য এত টাকা দিয়ে এসব করতে হবে?
-এটা তোমার ভাবতে হবে না পরেরদিন শুভ্র দরজায় নক করার পর মিম সামনে এসে
-কে আপনি? কি চাই?
-মুচকি হেসে আমি শুভ্র-হোয়াট
-ইয়াহ আই এম শুভ্র চৌধুরী
বলে শুভ্র মিমের সামনে দিয়ে.......
চলবে
আগামীকাল জীবনে প্রথম ভার্সিটির ক্লাস । অন্য সবার মতো শুভ্র ও নতুন শার্ট পড়তে ইচ্ছা করছে কিন্তু ওর তো নতুন কোন শার্ট নেই ।
একটা আছে ৫ মাস আগে বাবা ১৫০ টাকা দিয়ে কিনে দিয়েছিল পরীক্ষা দেওয়ার জন্য , তাই নতুন শার্ট না থাকাতে শুভ্রর মনটা একটু খারাপ হলেও ঐ শার্ট টা পড়ে ভার্সিটিতে যায়। শুভ্র শহরে নতুন তাই সবকিছু চিনেনা আর তাই ক্লাসে ডুকতে ১৫ মিনিটের মতো দেরি হল,তাই ক্লাস রুমের সামনে এসে দাড়ালো তখন............
-wellcome(শুভ্র)
-it,s ok
-স্যার আসতে পারি?
-হ্যা আসো,তুমি কি এই ভার্সিটির স্টুডেন্ট?
-জি স্যার(এটা বলাতে ক্লাসে হাসির রুল পরে গেল,জানি সবাই আমাকে হয়তো কোনো শ্রমিক মনে করছে তাই প্রথম হাসে নি , স্যার সবাইকে চুপ করালো)
-শুভ্র ক্লাসে প্রবেশের সময় স্যার ওকে দাড় করিয়ে বলে সবার পরিচয় নেওয়া হয়ে গেছে , তোমি সবার সাথে পরিচিত হও। সবাই পরিচিত হওয়ার পর ক্লাস শেষ করে দিলো । ক্লাস শেষে সুন্দর একটা মেয়ে বের হবার সময় শুভ্রের পাশে থাকা মেয়েটি ক্ষেত বলে রাগি মুখ নিয়ে বের হয়েগেছে ।। কয়েকদিন পর....শুভ্র এই কয়দিনে ভার্সিটিতে ক্ষেত নামে পরিচিত হয়ে গেছে, ওর কাছে প্রথম প্রথম খারাপ লাগলেও এখন আর খারাপ লাগে না। কারন এই শব্দটা শুনতে শুনতে তার অভ্যাস হয়ে গেছে। একদিন ক্লাসে স্যার সবাইকে বলে ভালোবাসা কাকে বলে? যে যার যার মতো বলতাছে। স্যার কতক্ষণ পর মিমকে মানে সবচেয়ে ভালো স্টুডেন্ট কে দাড়া করিয়ে বলে তুমি বলো(যে মেয়েটি শুভ্রকে ক্ষেত বলে ডাকে)
-পাশাপাশি দুই বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে তেমনি দুটি ছেলে মেয়ের মনের মিলনকে ভালবাসা বলে, এর কোনো প্রকার ভেদ নাই

-আর কেউ এর চেয়ে ভালো বলতে পারবা ? তখন শুভ্র দাড়িয়ে বলল স্যার আমি বলবো-বলো
-ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগ কেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা। তবুও ভালোবাসাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। আবেগধর্মী ভালোবাসা সাধারণত গভীর হয়,বিশেষ কারো সাথে নিজের সকল মানবীয় অনুভূতি ভাগ করে নেয়া, এমনকি শরীরের ব্যাপারটাও এই ধরনের ভালোবাসা থেকে পৃথক করা যায়না। ভালোবাসা বিভিন্ন রকম হতে পারে, যেমন: নিস্কাম ভালোবাসা, ধর্মীয় ভালোবাসা, আত্মীয়দের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি-তোমারটা সবচেয়ে ভালো হয়ছে, ধন্যবাদ তোমাকে এটা বলাতে মিমের রাগে চেহারা লাল হয়ে গেছে। ক্লাস থেকে বের হয়ে শুভ্র ক্যাম্পাসে হাটাহাটি করছে এমন সময় মিম একই ডিপার্টমেন্টের বড় আপুদের নিয়ে এসে শুভ্রকে দাড় করিয়ে প্রথম চোখ থেকে চশমাটা খুলে নেয়।
-আপনারা কি করছেন কিছুই বুঝতে পারছি না(শুভ্র)
-তোর নাম কি?(বড় আপুদের মধ্যে একজন)
-শুভ্র
-শুধু শুভ্র?আগে পাছে কিছু নাই?
-হ্যা আছে
-তাহলে সংক্ষেপে বললি কেন?
-এমনি
-কানে ধর
-কানে ধরবো কেন?
-বলছি ধর
-আপু আপনারা কি আমাকে র্যাগ(ragging) দিচ্ছেন?
-বলছি কানে ধরতে না হলে এখন পেন্ট খুলে সারা ক্যাম্পাস হাটাবো তখন শুভ্র নিরীহ মানুষের মতো ওরা যা যা বলে তা করে রুমে চলে আসলো।শুভ্র রুমে এসে অনেক কান্না করলো,বাবা রিক্সা চালক হলেও গ্রামে ওর সাথে কেউ এমন করে নি।এভাবে প্রথম ১ম বর্ষ কেটে গেলো,আজ ১ম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট দিবে।সবার প্রথম ক্লাসে সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট দারির নাম ঘোষনা করা হবে।সবাইকে তাক লাগিয়ে ক্লাসের প্রথম হলো শুভ্র আর দ্বিতীয় মিম।এটা শুনার সাথে সাথে শুভ্র একটা মুচকি হাসি দেয় কারন ওর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল ক্লাসে এক নম্বর হবে, তখন শুভ্র স্পেশালি ভাবে সব স্যারেরা তাকে একটি করে কলম উপহার দিল। অপরদিকে মিম রেগে আছে। কি করে ক্ষেতের বাচ্চাটা এক নম্বর হয়? মিম ক্যাম্পাসে বেশিক্ষণ না থেকে চলে গেলো।শুভ্র অনেক খুশি মনে খবরটা ওর মা-বাবা কে জানায়।শুভ্র কয়েকদিন পর একটা টিউশনি পেলো, যাক এখন থেকে আর বেশি অভাবে চলতে হবে না কারন প্রতি মাসে দশ হাজার টাকা পাবে, আর তাতে শুভ্রর খুব ভালোভাবে চলে যাবে। যাকে পড়াবে সেই মেয়ে নাকি ক্লাস টেনে পড়ে।প্রথম দিন পড়াতে গিয়ে ওর মা বাবা শুভ্রর সাথে কথা বলার পর ছাত্রীর সাথে কথা বলেছে।সেদিনের মতো রুমে এসে ঘুম দিলো। ছাত্রীর নাম নিধি। পরদিন যাওয়ার পর বুঝতে পারলো ছাত্রী হিসাবে তেমন একটা ভালো না কিন্তু অনেক ফাজিল মেয়ে।এরকম ২-৩ দিন যাওয়ার পর একদিন দরজায় কলিং বেল বাজানোর পর দেখে মিম।
-ঐ তোর এখানে কি চাই?
-(চুপ)
-ঐ ভ্যাবলা কথা বল
-আপু উনি আমার স্যার(নিধি)
-মানে
-হ্যা ৫ দিন আগে ঠিক করছে
-আমি এক সপ্তাহ বাসায় না থাকাতে এরকম ক্ষেত কিভাবে আমাদের বাসায় জায়গা পায়?
-আপু এখন কিন্তু বেশি হয়ে যাচ্ছে,ভাইয়া তুমি আসো বলে নিধি শুভ্রর হাত টেনে পড়ার রুমে নিয়ে যায়।
-ভাইয়া তুমি কিছু মনে করো না(নিধি)
-আরে না
-জানি তোমার একটু খারাপ লাগছে
-আচ্ছা বাদ দাও এসব
-আপুর হয়ে আমি স্যরি
-ওকে এখন পড়তে বসো ।কতক্ষণ পর নিধি তোরে মা ডাকে।
-কেন?
-ক্ষেতটাকে নাস্তা দিতি
-আপু আরেকবার যদি এই কথাটা বলো তাহলে খুব খারাপ হবে
-তুই কি খারাপ করবি?
-সোজা গিয়ে মা-বাবার কাছে গিয়ে বলবো
-এটা ছাড়া আর কিছু পারবিনা বলে ও চলে গেলো
-ভাইয়া আপু এরকমই(নিধি)
-হুম বুঝছি
-ভাইয়া তোমাকে একটা কথা বলি?
-হুম শিওর
-তোমি কালকে আমার সাথে এক জায়গায় যাবা?
-কেন?
-এমনি তোমার সাথে অনেক্ষন ঘোরাঘুরি করবো
-তোমার মা-বাবা মাইন্ড করবে
-করবে না
-ওকে। পরেরদিন নিধি আর শুভ্র বের হয়।
-ভাইয়া আসো ঐ দোকানটার দিকে যায়
-হুম চলো
-এটা তোমার গায়ে লাগিয়ে দেখো তো লাগে কি না?
-কেন?
-বলছি আগে দেখো
-হুম লাগে-মামা এটা প্যাকেট করেন । এরকম ভাবে শুভ্রর মাপে ৭-৮ টা কাপর নিলো ।
-ভাইয়া ঐ জেন্টস পার্লারে চলো
-কেন?
-তোমার চুল ছোট করবা আট মুখটা পরিষ্কার করবা
-শুভ্র এতক্ষণে বুঝতে পারছে এগুলো তার জন্য করতাছে,নিধি এগুলো কেন করতাছো?
-আপু তোমার চুল আর কাপরের জন্য ক্ষেত বলছে, এখন দেখবো কিসের জন্য ক্ষেত বলে।
-তাই বলে আমার জন্য এত টাকা দিয়ে এসব করতে হবে?
-এটা তোমার ভাবতে হবে না পরেরদিন শুভ্র দরজায় নক করার পর মিম সামনে এসে
-কে আপনি? কি চাই?
-মুচকি হেসে আমি শুভ্র-হোয়াট
-ইয়াহ আই এম শুভ্র চৌধুরী
বলে শুভ্র মিমের সামনে দিয়ে.......
চলবে
No comments:
Post a Comment
soumitramanna881@gmail.