Saturday, 14 March 2020

Gf এর অভাব

সারাদিন বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করেই কেটে যায়!কোন সমস্যা হয়না!যত সমস্যা হয় রাতের বেলা!!এই শিতে দিনটা কাটে খুন আনন্দে😊কিন্তু রাত হলেই শিতটা দিনের থেকে দ্ধিগুন হয়ে যায়! হবেই তো!কেমন জানি একটা অভাব অনুভব করি😑কিন্তু কি সেটা!বুজতে পারিনা!কোলবালিশটাও পযন্ত ছিড়ে গেছে😮আসলে আমার মতো ব্যাচেলার আর নিষ্পাপ ছেলের দু:ক্ষ বুজার মতো কোলবালিশ ছাড়া আর কিছু নেই!!
[Note:পাশের বাসার ভাবি থাকলে আরেক কথা😁]
বলতে বলতে,,দিন শেষে রাত নেমে এলো!আজ ঠান্ডাটা আগের থেকে একটু বেশিই লাগতেসে!কাল সকালে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে!!
অপেক্ষা করলাম!ডাক্তারের কাছে কখন যাবো!!
রাতটা কাটতে চায়না!!রাত ১১টা বাজেই গেলাম ডাক্তারের কাছে!! আমার চিনা এক ডাক্তারের কাছেই গেলাম!আমার আর ভালোই লাগছে না এই ঠান্ডা!!যেতে যেতে বাজলো রাত ১২টা
যাওয়ার পর
-
ডাক্তার:এত রাত্রে অমিত!!তুমি?কি হয়েছে!
আমি: এইটো! খুব ঠান্ডা! আপনার সাথে দেখা
করতে এলাম!আর একটু আলাপ
করতে!!
ডাক্তার: এই কথা!😕বিশ্বাস হয়না!তোমাকে!
যাই হোক!!কাঁপতেসো কেন??
আমি:ওইটাই তো বলতে এসেছি!!
ডাক্তার:এইটা আবার কেমন কথা!!
আমি;না মানে!রাতে খুব বেশি ঠান্ডা লাগে
আমার!কি করা যায়??
ডাক্তার:বিয়ে করো তুমি
আমি:কি??বিয়ে?
ডাক্তার:হ্যা! বিয়ে!
আমি:ওই!আপনি ডাক্তার নাকি কসাই!!
ডাক্তার:কি মনে হয়!
আমি:ধুর ছাই!আসলাম ঠান্ডা এর সমাধান
পাওয়ার জন্য,আর হলোটা কি?
[Note:সালা নির্ঘাত হাতুরি ডাক্তার😁]
-সেখানে থেকে বেরিয়ে আসতে যাবো দেখলাম!দরজায় কেউ আরি পেতে আছে!
এই ঠান্ডায়! এ আবার কে?
বাইরে যেতে লাগলাম!আর সেও জোড়ে দোড় দিতে লাগলো!!আমিও তার পিছন পিছন হাস্পাতালেই দোড়াতে লাগলাম!সে হাসপাতালের ছাদে নিয়ে গেলো!তারপর আমি বললাম:
-
আমি:আপনি কেন!আমার আর ডাক্তারের কথা
আড়াল থেকে কেন শুনতেসেন?
মেয়ে:আমি আপনার অভাব?
আমি: আমার অভাব মানে! পাগল নাকি?
মেয়ে: শালা! 😠😠😠কি বললি তুই?
আমি:দেখেন!শিত করতেসে! এরমাঝে আপনি
আবার কি শুরু করেছেন!
মেয়ে:ওকে!তাহলে তোর ঠান্ডা দূর করছি দারা
আমি:ওকি!আমার সামনে কেন বাড়তেসেন?
মেয়ে: তোর ঠান্ডা এর ষষ্ঠি পুজা?
আমি:বাচাও????????
মেয়ে:আরেক বার! আওয়াজ করলে!সবাইকে
বলবো তুই আমাকে এখানে এনেছিস?
আমার সাথে খারাপ কাজ করতে?
আমি:খারাপ কাজ কি?
মেয়ে:ন্যকা
আমি:হুম আমি!😊শান্তশিষ্ট নিষ্পাপ শিশু!
মেয়ে:হয়েছে আমাকে জড়িয়ে।ধরবি নাকি
আমি ধরবো!!
আমি:অ্যাঁ মানে!
মেয়ে:যা বলছি তাই?
আমি:পারবোনা?
মেয়ে:কি বললি তুই?
আমি;আগে পরিচয়টা দেন?
মেয়ে:আমি তোর ফেসবুক ফ্রেন্ড!
তোকে আমি অনেকভালোবাসি?
আর গল্পগুলা তো Amazing😍
আমি: ওয়াও:তাহলে আপনি সেই?
মেয়ে:হুম আমি!আজ তো ৮ ফেব্রুয়ারী তো
আমাকে প্রপোজ কর?
আমি:না না করবোনা!
মেয়ে:কেন?আমি কি সুন্দর না
আমি:কখন বললাম সুন্দর না?
মেয়ে:তাহলে কি?বল গলা টিপে মেরে ফেলবো
আমি:এইরকম গুণ্ডা টাইপের মেয়ে হলেই
ফ্রেন্ডই হতাম না?
মেয়ে:কি বললি:আমি গুণ্ডা!তোর বাপ গুণ্ডা?
আমি:না না আপনি ভালো[কি মেয়েরে বাবা]
মেয়ে:ভালো রাখ!প্রপোজ কর?
আমি:না করলে?
-
মাত্র ২ মিনিট! দেখ তোর কি করি?বলেই কাকে যেন ফোন দিলো!আর বললো!কিছুক্ষন অপেক্ষা কর!আমি বললাম এই রাত্রে এই ঠাণ্ডায়!মরে যাবো!!
-কিছুক্ষন পর,
চারদিক হটাৎ করে আলোকিত হয়ে উঠলো!চারদিকে লাইট!আর বিভিন্ন আয়োজন! মনেহলো কারো বিয়ে!
কিছুক্ষন পর কাজি আসলো!!আর আমাকে ৪জন ছেলে এসে বললো! আজ তোকে সিংহের গুহায় পাঠানো হবে!!আমি ভয়ে আমতা আমতা করে বলছি!সি-সি-সি-সিংহের গুহা মানে!!
ওরা বললো! আমরাও এর সিকার হয়েছি!আজ তোর পালা!!
আমি যাবোনা বলায়!আমার হাত পা বেধে নিয়ে গেলো!!
-
-যাওয়ার পর!দেখলাম কার জানি বিয়ে!
ওকি!এ তো দেখি আমারি বিয়ে!!
দেখলাম কার সাথে যেন বিয়ে দিয়ে দিলো!
-
-রাত ২টা বেজে গেছে বাসায় আসলাম!
আসার পর যখন বাসর ঘরে গেলাম!
-সেটা দেখার জন্য আমি মোটেও প্রসূত ছিলাম না
-
-
আসতে আসতে গেলাম!খাটে বসলাম!ঘোমটাটা খুললাম!একটু আগের মেয়েটি!ফেসবুকে না পোস্ট করেন! বউ নাই জিএফ নাই! আজ আপনাকে কে বাচাবে!
আমি:দেখেন আমাকে ভয়দেখাবেন না
মেয়ে:আজ তোর শিত লাগবে না একটুকুও?
আমি:আপনি কি ডাক্তার?
মেয়ে:হুম প্রেম ডাক্তার
আমি:বলেন তো আমার কিসের অভাব?
মেয়ে: তোমার
1.Physics2.Chemistry
3.Biology4.Mathematics.
ছেলে :এসবকি?
মেয়ে: তোমার অভাব?
ছেলে:না আমার কোন অভাব নাই?
মেয়ে:সত্যি কোন অভাব নাই?
ছেলে:না নাই!
মেয়ে: কাছে আসলো!আর ঠাসসসসস
করে চড় দিলো!
-
-বেস আমার ঘুম ভেংগে গেলো!আহ! কি সুন্দর সপ্নটাই না ছিলো!!😭😭😭
-মিস করবো সপ্নের দেখা সেই গুণ্ডা মেয়েটিকে!!যে কিনা আমাকে আমার Gf এর অভাব বুজিয়ে দিয়ে গেলো!!তবুও আজ কিনতু ৮ ফেব্রুয়ারি রাত আজ আমার সাবধানে থাকতে হবে!সপ্ন সত্যি হয়ে গেলে!!💖
-
-পুরোটাই সপ্ন ছিলো!
আপনার কাছে কি একটা লাইক কমেন্টস আশা করতে পারিকেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু!


  • 1

No comments:

Post a Comment

soumitramanna881@gmail.

Popular Feed

Recent Story

Featured News

Back To Top